অসহায় মানুষ -১০ 

 

জন্মের পর থেকেই অন্তরাকে দেখাশোনা আসছে আল্লারাখা। অন্তরার মধ্যে ও যেন ওর হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে খুজে পায়। অন্তরাকে আদর যত্ন করতে করতে আল্লারাখার জীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠতে লাগলো।
অন্তরাও আল্লারাখার উষ্ণতায় খুবই পরিতৃপ্ত বোধ করতো।
সেই ছোটকাল থেকেই অন্তরা আল্লারাখাকে বাবা বলে ডাকে। এ ব্যাপারে আল্লারাখা অন্তরাকে কিছু কি বলেছে, না কি বাবার অনুপস্থিতিতে আল্লারাখার কাছ থেকে সে অভাবটা পুরন হওয়াই এমনিতেই অন্তরা ওকে বাবা বলে সেটা ঠিক পরিষ্কার না।
যাহোক, সেলিনা তাতে কখন কোন আপত্তি করেনি। অন্তরার একাকী জীবনে আল্লারাখার পিতিৃত্বের স্নেহ ভালবাসাই অন্তরা বেড়ে উঠতে লাগলো।
বড় হয়ে যখন বুঝতে শিখল তখন থেকে আল্লারাখাকে বাবা বলার পাশাপাশি নিজের বাবা সালাম তরফদারকে ড্যাডি বলে সম্বোধন করতো অন্তরা।
ধীরে ধীরে আল্লারাখা সেলিনার একান্ত অনুগত ভক্ত হয়ে তরফদার ভবনে ওর একাকী জীবনের সাথী হয়ে বসবাস করতে লাগলো।
আল্লারাখাকে সালাম তরফদার অত্যাধিক পছন্দ করতেন। বিশেষ করে ওর অটল বিশ্বস্ততা ছিল প্রশ্নাতীত। কিন্তু একজন কাজের মানুষকে অন্দর মহলে স্থান দেয়াটা কখনই ভালো চোখে দেখেনি সালাম তরফদার।
তিনি নিজে যদিও বলতে গেলে তরফদার মহলের মাঝে মধ্যের অতিথি তবুও কয়েক মাস অন্তর যখনই আসতেন তখনই আল্লারাখার অন্দরমহলে থাকার ব্যপারটা নিয়ে আপত্তি তুলতেন।
এর আগে সেলিনার সাথে সালাম তরফদারের দুএকটা কাজের কথা ছাড়া অন্য কোন কথাবার্তা হতো না। কিন্তু ইদানিং কালে ওদের মধ্যে কথাবার্তার মুল বিষয় হয়ে উঠলো আল্লারাখা।
-আল্লারাখা এবাড়ীর কাজের মানুষ। ও বাড়ীর অন্দর মহলে ঘুমাই, ওকে নিয়ে তুমি বাইরে ঘোরা ফেরা করো আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে যাও, এগুলো কি ঠিক?
-ও না গেলে কে যেত আমার সাথে?
স্রতীর কথায় সালাম তরফদার তাকালো তার মুখের দিকে।
-সবাই দেখছে সবকিছু। কতকিছু বলাবলি করছে।
কোন জবাব দেয় না সেলিনা।
-ছি ছি, কি ভাবছে সবাই, সেটা ভেবে দেখেছো কখনো?
-এতকিছু যদি মানুষ না দেখতো বা ভাবতো তাহলে কি কোন সমস্যা হতো তোমার?
আবেগহীন কণ্ঠ সেলিনার।
সে ভাবেই তাকিয়ে রইলো সালাম তরফদার স্ত্রীর মুখের দিকে।
সেলিনাও তাকালো স্বামীর চোখে।
চরম বাস্তববাদী জীবনের হিসেব করতে পক্ক সফল ব্যবসায়ী সালাম তরফদারের মুখের উপর ভেষে ওঠা অভিব্যক্তি পড়ে দেখার চেষ্টা করলো সেলিনা। কিন্তু একদম খালি সে মুখাবয়ব, না ছিল তাতে কোন আবেগ বা অনুভূতি।

সেলিনার শরীর তখন খুবই খারাপ। আল্লারাখা কত কান্না কাটি করলো সালাম তরফদারকে একটু খবর পাঠাবে বলে। কিন্তু সেলিনা কিছুতেই রাজী হলো না।
-অন্তরা জন্ম নিলে আমার অবাধ্য হয়ে সিংগাপুরে খবর পাঠিয়েছিলি। তখন বলিনি কিছু। কারণ অন্তরা ওরই রক্ত।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো সেলিনা।
-কিন্তু এবার যদি ওখানে খবর পাঠাস তবে নিশ্চিত আমার মরা মুখ দেখবি।
পাথর কঠিন হয়ে উঠলো সেলিনার চোখ মুখ।
-বাবা থাক, ড্যডিকে খবর দিও না।
কাদতে লাগলো অন্তরা।
সেলিনার একদম শেষ অবস্থায় আল্লারাখা আর সহ্য করতে না পেরে নিজ উদ্যোগে খবর পাঠালো সিংগাপুরে। ছুটে আসলো সালাম তরফদার। কিন্তু সেলিনা ততোক্ষনে সব ধরা ছোয়ার উর্দ্ধে।
নীরব দর্শকের মত সময় কাটিয়ে অন্তরার বয়স যখন পনেরো বছর সেলিনা তখন চির বিদায় নিয়ে চলে গেল।
ক্রন্ধনরত মেয়েকে জড়িয়ে অনেক কান্নাকাটি করলো সালাম তরফদার। বাবার বুকে মুখ লুকিয়ে নীরবে কাদলো অন্তরা। কিন্তু কোন অভিযোগ করলো না।
খবর পেয়ে লন্ডন থেকে পরিবার নিয়ে বাড়ীতে আসলো বড় ভাই জামাল তরফদার। শোকাহত ভাইকে অনেক শান্তনা দিল।

অনেক বছর পর বাড়ী ফিরে বেশ ভালো লাগলো জামাল তরফদারের। স্ত্রী তানিয়ারও খুব ভাল লাগলো এ জায়গা সহ দেশের সব কিছুই, বিশেষ করে ভালো লাগলো ওদের বড় ছেলে সাকিবের।
সাকিক তখন কেবল মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছে। ওরই তাড়া ছিল শিগ্রি ফেরত যাওয়া। সেই সাকিবের অনুরোধেই জামাল তরফদার এক মাসেরও বেশী সময় কাটিয়ে গেল নিজেদের পিতৃপুরূষের ভিটায়।
শোকাহত অন্তরাও ওদের সান্নিধ্যে বেশ প্রাণবন্ত হয়ে উঠলো। বিশেষ করে সাকিবের ধ্যান ধারণা, জীবন নিয়ে ওর চিন্তা চেতনার সাথে অনেক মিল খুজে পেল অন্তরা।
লন্ডনে জন্মগ্রহন করে ওখানে বড় হওয়া সত্ত্বেও ওর মন মানষিকতা একদম এদেশের মানুষদের মতই। দেশের প্রতি দেশের মানুষের প্রতি সাকিবের আন্তরিকতা দেখে বিশেষ প্রীত হলো অন্তরা।
দেশের সব কিছু সম্পর্কে খোজ রাখে সাকিব। লন্ডনে বাস করা সত্বেও দেশের যে কোন ভাল কিছু যেমন ওকে আনন্দ দেয় তেমনি খারাপ কিছু ওকে মর্মাহত করে। দেশের উন্নতির ব্যপারে ও নিজের ভাবনার কথাও অন্তরাকে জানায়। সাকিবের আলাপচারিতাই বোঝা যায়, ওর মনের গভীরে লালিত এ চেতনা ও কারো সাথে ভাগাভাগি করতে পারে না।
সাকিবের এতসব অনুভূতি ভাবনা অন্তরাকে বলতে পেরে আর বিশেষ করে সব বিষয়ে অন্তরার ইতিবাচক মনোভাব এই অল্প সময়েই ওদেরকে একে অপরের কাছে এনে দেয়।
দেশে ওদের এতসব আছে। এত পুরোনো বংশ ওদের। এ সমস্ত জেনে আর স্বচোখে দেখে অভিভূত হয়ে পড়লো সাকিব। বিদেশের মাটিতে জন্মে আর চাক্ষুস ভাবে বৈশাদৃশ্য বন্ধু বান্ধবদের সাথে মিশে ওর মনের গভীরে একটা পরিচয়হীনতা বোধ জন্ম নিয়েছে। যা স্পষ্ট করে ও কাউকেই বলতে পারিনি কখনো।
-অন্তরা, এখানে আসার পর প্রকৃতই বুঝতে পারছি আমি কে। এখানটা ওখানকার মত নয়। এখানে আমি সবার একজন।
অন্তরা ওর কথার অর্থ ততোটা না বুঝলেও সহানুভূতির দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে ওর মনের গভীরের যন্ত্রণার ভাগ নিতে চাইলো।
সাকিব সেটা অনুধাবন করে ওর অনেক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলো।
পড়াশোনা শেষে সাকিব লন্ডনে একটা হাসপাতালে জয়েন করেছে।
-নানা বর্ণের মানুষের শরীরের ভিতরটা আমি দেখেছি অন্তরা কোন পার্থক্য নেই সেখানে। কালো চামড়ার মানুষের রক্ত যেমন সাদা চামড়ার শরীরে পুশ করা হয় বা এর ঠিক উল্টোটা ঘটলেও শরীর তা গ্রহন করে। কিন্তু চোখ দিয়ে দেখা যাওয়া বা কান দিয়ে শোনা বৈশাদৃশ্য কেউ মেনে নেয় না। প্রত্যাখান করে স্বতঃস্ফুর্তভাবে।
অন্তরা নীরবে শুনছিলো সাকিবের কথা।
-মেনে নেওয়ার কদাচিৎ উদাহরণ খবরের কাগজের পাতায় দেখা যায় কালে ভদ্রে। কিন্তু সেগুলোতো সাধারণ মানুষের কাজ নয়।
-একটা ব্যাপার কি জান অন্তরা। ভিন্ন রংয়ের সাধারণ মানুষের এই প্রবনতা কিন্তু সহযাত, সৃষ্টিকর্তার অমোঘ নিয়ম, তাকে যে অস্বীকার করা যায় না। ডোরাকাটা রঙে রাজকীয় ভঙ্গিমায় সবুজ অরণ্যে বিচরণে অভ্যস্ত বাঘকে যদি মেরূতে নিয়ে মোটাসোটা সাদা ধপধপে ভল্লুকের সাথে মিশতে দেয়া হয় তাহলে ওই জমানো ঠান্ডায় বাচার জন্য ওর ডোরাকাটা শরীরের সৌন্দর্য ঢেকে জীবন বাচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। আবার ভল্লুকের দেখাদেখি গায়ের কাপড় যদি ফেলে দিতে চায় তবে একদিকে যেমন প্রকৃতি ওকে শাস্তি দেবে অন্যদিকে শেতশুভ্র পরিবেশে চাক্ষুস বৈশাদৃশ্যটা সবার চোখে লেগে ও একটা দৃষ্টি আকর্ষণ করা বস্তুতে পরিনত হবে।
সাকিবের দৃষ্টিভঙ্গি অন্তরাকে ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট করলো। জীবন চলার পথ সম্পর্কে ওর গদবাধা ধারণাটাকে পরিবর্তন করে দিল। অন্যদিকে সাকিবও নিজেকে খুজে পাওয়ার আনন্দে অন্তরাকে সাথি হিসেবে পাওয়াতে দারূন আশ্বস্ত বোধ করলো।
বস্তুত সাকিবের অনুপ্রেরণায় অন্তরা মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার জন্য মনোস্থির করলো। সাকিব প্রস্তাব করলো ভবিষ্যতে বাড়ীর মুল অংশটা রেখে বাকি অংশে ওরা একটা হাসপাতাল বানাবে। প্রস্তাবটা সবারই খুব পছন্দ হলো বিশেষ করে অন্তরার।
স্ত্রী বিয়োগে হতবাক সালাম তরফদার অন্তরাকে স্বাভাবিক হতে দেখে বেশ স্বস্তি বোধ করলেন।
চাচা জামাল তরফদার এ অবস্থায় অন্তরাকে লন্ডনে ওদের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করলেন। মেয়েকে চুপ থাকতে দেখে সালাম বড় ভায়ের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নিজের সম্মতির কথা জানালো।
-এতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কি আছে। অন্তরাতো আমারও মেয়ে না কি?
-অন্তরা আমাদের ওখানে গেলে আমরা খুবই খুশী হবো।
পাশে দাড়ানো মিসেস জামাল তরফদার অন্তরার মাথায় স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিয়ে বললেন কথাটা।
-না চাচা আমি বিদেশে যাব না, দেশে থেকেই পড়াশোনা করবো।
শান্ত কণ্ঠে জবাব দিল অন্তরা।
সবাই তাকালো ওর দিকে।
-না মা, তোকে যে এখনই যেতে হবে তাতো নয়। তুই ভেবে দেখ তারপর না হয় সিদ্ধান্ত নিস।
-না চাচাজান আমি ভেবেই বলেছি।
সালাম তরফদার অবাক হয়ে তাকালো মেয়ের দিকে।
-ও ঠিকই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাবা। এদেশে পড়াশোনা করলেই ভালো করবে ও।
সাকিব ওকে সমর্থন করলো।
প্রায় দেড় মাস অবস্থান করে জামাল তরফদার পরিবার নিয়ে ফিরে গেলেন। যাওয়ার সময় নতুন করে সাকিব এখানে হাসপাতাল তৈরীর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বর্তমানে চাকরীর স্থানে ওর কন্ট্রাক্ট শেষ করেই কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে ফিরবে বলে জানালো।

সালাম তরফদার বেশ কয়েকমাস মেয়ের সাথে দেশে নিজ বাড়ীতে কাটালেন। নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়লেন মেয়ের সাথে। নিজের ভূল স্বীকার করে স্ত্রী কন্যার কাছ থেকে এভাবে দূরে থাকার জন্য নিজেকে দোষারোপ করলেন।
-অন্তরা আমি নিজেকে চিনতে পারিনি। ব্যবসার নতুন নতুন দিগন্ত আর নতুন নতুন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে দেখতে নিজের দিকে আর তাকানো হয়নি।
অন্তরা তাকিয়ে বাবার মুখের দিকে। বাবাকে বহুবার দেখলেও এমন একান্তে কথা হয়নি কখনো।
বাবার প্রতি মায়ের অপছন্দের ব্যপারটা বুঝতো অন্তরা। তা স্বত্বেও বেচে থাকতে মা চিরকালই বাবা সম্পর্কে সব সময় ভালো কথা বলতো।
-তোর বাবা বিদেশে কত কষ্ট করে একাকী থাকে কেবল সংসারের স্বচ্ছলতার কথা চিন্তা করে, এই যে আমাদের এত কিছু তার সবইতো তোর বাবার কষ্টের উপার্জন।
মাকে ছোট কাল থেকেই কেমন যেন উদাসীন দেখেছে অন্তরা। কাজে ব্যস্ত থাকলে হাসি খুশী কিন্তু কাজের বাইরে মনে হতো অন্য এক মানুষ।
-তোর বাবাকে আমি ঠিক চিনতে পারিনা।
সেলিনা মাঝে মধ্যেই কথাটা বলতো মেয়েকে।
কিন্তু আজ বাবার মুখ থেকে অমন একটা কথা শুনে অবাক হলো অন্তরা।
-ব্যবসার খাতিরে, নিজেকে মানানসই করতে করতে দিন মাস বছর গড়িয়ে আজ এই পর্যায়ে এসে দাড়িয়েছি।
অন্তরাকে তার নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথায় অন্তরা না করলে তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিংগাপুরের ব্যবসা গুটিয়ে ফিরে আসার কথা জানালেন মেয়েকে।
-আজ আর সত্যি গোপন করবো না তোমার কাছে। তোমার মা সেলিনাকেও কথা দিয়েছিলাম দেশে ফেরত আসার। কিন্তু সে কথা আমি রাখতে পারিনি।
অনুশোচনায় ভেঙে পড়লেন সালাম তরফদার।
অন্তরা নির্বাক। কিছুটা ভাবলেশহীন।
-নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকেই দোষারোপ করবো না। মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করেছি তবে এখানে ফিরে আসার শত ইচ্ছে থাকলেও মন থেকে কোন তাড়না বোধ করিনি।
একটু থেমে একটা বড় একটা নিঃশ্বাস টানলেনো সালাম তরফদার।
-জন্ম থেকেই বিজাতীয়দের মত কান্ড শাখা প্রশাখা গজালেও আজ বুঝতে পারছি সে বৃক্ষের মূলটা এখানেই। তুই আমাকে ভুল বুঝিসনে মা।
ভেঙে পড়লেন সালাম তরফদার। সোফায় বসে নিজের হাতের মধ্যে মুখ গুজলেন।
অন্তরা বসলো বাবার পাশে। একটু ইতস্ততঃ করে অনভ্যস্ত ভাবে একটা হাত রাখলো বাবার পিঠে।
-আজ ফেরার যে একটা তাড়না মনের গভীরে অনুভব করছি এমনটা কখনো করিনি আগে। এতদিন আমার শরীরটাকে আমি বলে ভুল করে ওটার তাড়নায় পড়ে ছিলাম পরদেশে। আজ প্রকৃতই আমাকে খুজে পেয়েছি। তায় আর দূরে থাকা নয় এবার নিশ্চিত ফিরে আসবো।
সালাম তরফদার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করালেন মেয়েকে। ব্যবসা গুটিয়ে আনতে কয়েক বছর সময় লাগবে তায় শহরের অভিযাত এলাকায় মেয়ের জন্য দোতলা একটা বাড়ী কিনে অন্তরার থাকার ব্যবস্থা করলেন।
বাসাতে মাঝ বয়স পার করা অন্তরার দূর সম্পর্কীয় এক খালা খালেদা আর আল্লারাখাকে ওর সাথে থাকার ব্যবস্থা করলেন। গাড়ী ড্রাইভার সব কিছুরই ব্যবস্থা করলেন তিনি।

Category: Bangla, Novel

Comment List

Your email address will not be published.