অসহায় মানুষ -২ 

 

এ সময়ই বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করার উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত একটা আন্তর্জাতিক সেবামুলক এনজিও প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ হয় প্রদিপের।
প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য দারূনভাবে নাড়া দেয় ওকে। এনজিওটির প্রধান ফ্রান্সের বাসিন্দা মিসেলের সাথে দেখা করে ওর কাছ থেকেই প্রদিপ জানতে পারে এদেশে ওদের টার্গেট পপুলেশান সম্পর্কে। বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের কাজ করছে এনজিওটি।
প্রদিপ এ রকম একটা কাজে যোগদানের তাড়া সব সময় অনুভব করত ওর নিজের ভিতর থেকে।
প্রদিপের আগ্রহ দেখে মিসেল খুব উৎসাহিত বোধ করেন। এবং তারই অনুপ্রেরনায় প্রদিপ ইউরোপ ভিত্তিক ওই এনজিও প্রতিষ্ঠানে এক্সিকিউটিভ হিসাবে যোগ দেয়।
বাবা প্রবল আপত্তি করলেন। তিনি ভেবেছিলেন মাষ্টার্স পাশ করার পর প্রদিপ ‘নেওয়াজ গ্রুগ অব ইন্ডাসট্রিজে’র বোর্ড অব ডিরেক্টরস এ যোগদান করবে।
কিন্তু প্রদিপের আজন্ম ইচ্ছা নিপিড়ীত মানুষের সেবা করা, তায়তো কাজটা নিয়েছে ও। প্রথমে আপত্তি করলেও কেবল কিছু সময়ের জন্য বিশেষ করে ওর থিসিসটা শেষ করা অব্দি কাজটা করবে সে শর্তেই রাজি হয়েছিলেন নাসিম নেওয়াজ।
অফিসের কাজ বুঝে নিতে নিতে মিসেলের সাথে বেশ হৃদ্যতা গড়ে উঠলো প্রদিপের। কাজটা চাকরী হিসেবে না নিয়ে একটা কমিটমেন্ট হিসেবে নেয়ার মনোভাব মিসেলকে বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট করে।
মিসেলের সাথে বসে প্রদিপ ওর কার্য্যপ্রণালী ঠিক করে নিল। একজন এ্যসিসট্যন্টকে সাথে নিয়ে রাজধানী বস্তিতে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরূ করলো প্রদিপ।
বস্তিবাসীদের তালিকা তৈরী করতে যেয়ে সব হারানো হাজারো দুখী মুখের এক অফুরন্ত ভান্ডারের খোজ পেল প্রদিপ।
ধীরে ধীরে প্রদিপের মধ্যে একটা ধারণা জন্মালো যে এরা সবাই নিরেট জন্ম সুত্রে লাভ করা কিছু শারিরীক ও মানসিক ক্ষমতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে। যেমন যে একটু হৃষ্ট পুষ্ট সবল দেহের অধিকারী সে কায়ীক শ্রম দিয়ে, যে ছোটকাল থেকে একটু বাচাল সে গলাবাজী করে, যে যন্ত্রপাতি নিয়ে নড়াচড়া করতে ভালবাসে সে কোন মেকানিকাল কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এমনি ভাবে প্রকৃতি প্রদত্ত বৈশিষ্টকে একদম বদল না করে বরং সেটাকে পুজি করে জীবিকা নির্বাহ করছে সবাই।
এটা যেন প্রকৃতির ইচ্ছাকে মেনে নেয়ার যেন এক মহোৎসব!
বিষয়টি দারুন ভাবে স্পর্শ করলো প্রদিপকে। প্রতিটি মানুষের প্রকৃতি প্রদত্ত গুনাগুণকে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করে, শিক্ষার মাধ্যমে সেগুলিকে উন্নত করে তাদেরকে যদি সঠিক কর্মক্ষেত্রে লাগানো যাই তা হলে তাদের কাছ থেকে অনেক বেশী ভাল কিছু আশা করা যেতে পারে।

বস্তিতে বসবাস কারা মানুষদের প্রকৃতি প্রদত্ত সামর্থ্য চিহ্নিত করার জন্য ওদের আর ওদের পরিবারের সাথে নিবিড় ভাবে মেলামেশা করা প্রয়োজন বলে মিশেলের সাথে আলাপ হল প্রদিপের।
এরই মধ্যে প্রদিপ ওর কিছু পর্যবেক্ষণ লিপিবদ্ধ করে মিশেলের সাথে বিস্তর ভাবে আলোচনা করল। যেখানে এটা পরিস্কার হল যে ছেলেমেয়ে গুলোকে তাদের বাবা মা ওদের জন্মগত সামর্থ্য বা অসামর্থ্য চিহ্নিত না করে বা ভুল ভাবে চিহ্নিত করে কাজে লাগিয়েছে তাদের নেতিবাচক ফলাফল প্রদিপ অকাট্য ভাবে তুলে ধরল। ব্যাপারটি শিক্ষিত সমাজের ছেলে মেয়েদের বেলাও ঘটে আর সেটা জানতে অনেক দেরী হয়ে যায়। তবে বস্তিবাসী ছেলেমেয়েরা যেহেতু সকলে কায়িক পরিশ্রম দিয়েই ওদের জীবিকা অর্জন শুরু করে তায় ওদের জন্মগত সামর্থ্য অসামর্থ্যের বিষয় গুলি আগে থেকেই চিহ্নিত করা যায়।

প্রদিপের এই পর্যাবেক্ষনকে অপূর্ব এক আবিষ্কার বলে বর্ণনা করলেন মিসেল। ঢালাও ভাবে বস্তিবাসী ছেলেমেয়েদেরকে গড়ে তুলতে সাহায্য করার পরিবর্তে ওদের এক এক জনের মেধাকে সনাক্ত করে সেভাবেই ওদের নিজস্ব মেধা অনুযায়ী তালিকা করে সে অনুযায়ীই ওদেরকে গড়ে তোলা সম্ভব এবং সহজ। তায় সে ভাবেই পরিকল্পনা করলেন মিসেল।

সে লক্ষ্য নিয়েই প্রতিদিন সকাল বেলাতে বস্তিতে যায় প্রদিপ। কাজ সেরে অফিসে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যে হয়। তারপর বাড়ী ফিরতে বেশ রাত। কিন্তু ব্যাপারটি বিশদ ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ওই সময়টুকু নিতান্তই অপ্রতুল মনে হতে লাগলো প্রদিপে আর মিসেলের কাছে।
তায় প্রতিদিন বাড়ী না ফিরে অফিস ডরমিটারীতে অবস্থান করে কাজ করার প্রস্তাবটা মিসেলই ওকে দিল। তাতে প্রতিদিন বেশ কয়েক ঘন্টা করে সময় বাচবে। এছাড়া ডরমিটারীতে থাকলে সন্ধ্যের পর বা ছুটির দিনে ইচ্ছে করলে অফিসে বসে কাজ করতে পারবে প্রদিপ।

এবারে জোর আপত্তি করলেন রেবেকা বেগম। ছেলেকে কিছুতেই বাড়ীর বাইরে রাতে থাকতে দিতে চান না তিনি।
রেবেকা বেগমের অন্য দুটো সন্তানের একজনও কাছে নেই।
মেয়েটা মেডিকেলে ভর্তি হয়ে হোষ্টেলে থাকে আর ছেলেটা মালয়েশিয়াই একটা ইউনিভারসিটিতে পড়ে। ওদেরকে ছাড়তে খুব একটা আপত্তি করেনি রেবেকা বেগম। কিন্তু প্রদিপকে ছাড়ার ব্যপারে তিনি বাদ সেধে বসলেন।
প্রদিপ চাকরীতে জয়েন করার সময়ও বাদ সেধেছিলেন তিনি। প্রদিপ চাকরীতে জয়েন করার সময় মুলতঃ স্ত্রীর অনুরোধে নাসিম নেওয়াজ দেখা করেছিলেন মিসেলের সাথে যাতে ছেলেকে চাকরিতে যোগদান করা থেকে নিবৃত করা যাই।
সেদিন নাসিম নেওয়াজ মিশেলের সাথে অনেক্ষন আলাপ করেছিল। মিসেলের সাথে আলাপ করে ওর ব্যক্তিত্ব আর চিন্তা চেতনায় আকৃষ্ট হয়েছিলেন তিনি। ছেলেকে ওই চাকরীতে যোগ দেয়ার সম্মতি দেয়ার পক্ষে অনেকাংশে কাজ করেছিল মিসেলের সাথে তার আলাপ হওয়াটা। মিশেলের কথা স্ত্রীর সাথে সবিস্তারে আলোচনা করে তার মত করাতে সামর্থ্য হয়েছিল সেদিন।
কিন্তু এবার রেবেকা বেগম একদম বেকে বসলে নাসিম নেওয়াজ আবার গেলেন মিসেলের সাথে দেখা করতে।
-প্রদিপ আপনার ছেলে মিঃ নেওয়াজ তায় আপনি ওকে অন্যের থেকে অধিক ভাল করে চেনেন সেটায় স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিদিন দেখা লক্ষ কোটি নক্ষত্র খচিত আকাশে অকস্মাৎ একটা নতুন তারা উদয় হয়ে যদি জ্বল জ্বল করে আর সেটা যদি আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে যায় তা কিন্তু দোষের কিছু না।
প্রদিপের ডরমিটারীতে থাকার ব্যপারে নাসিম নেওয়াজ আপত্তি তোলায় কথাগুলো বলছিলো মিসেল।
-আপনি হয়তো ছেলের অনেক সম্ভাবনার কথা জানেন। কিন্তু আমার এনজিও’র উদ্দেশ্যের সাথে প্রদিপ নিজেকে জড়িত করার পর ওই সম্ভাবনায় ভরপুর তারকারাজির ভিতর এক নতুন তারার ঝলক আমি দেখেছি ওর চোখে মুখে। আমার এ প্রজেক্টে ওর মত আরো কিছু চকচকে তরূন কাজ করে। কিন্তু এ কাজে ওর আন্তরিকতা সবার থেকে আলাদা। এ কাজটার প্রতি ওর আকর্ষণটা আত্মিক বলে আমার মনে হয়েছে। বস্তিবাসীদের সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে প্রদিপ যখন আলোচনা করে তখন ওর ভিতর আমি এক ভালবাসার আলোর বিচ্ছুরণ দেখি। ব্যপারটা আমাকে ওর প্রতি বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
-ডরমিটারীতে থাকলে এ কাজে ও নিজেকে আরো নীবিড় ভাবে জড়িত করতে পারবে। তাছাড়া ওর থিসিস করার জন্যও এ ব্যবস্থা বিশেষ সহায়ক হবে।
মিসেলের যুক্তির পাল্টা কোন যুক্তি সেদিনও দাড় করাতে ইচ্ছে হয়নি নাসিম নেওয়াজের।
বস্তির মানুষদের সম্পর্কে আরো গভীর ভাবে জানার ব্যপারটাতে আরো বেশী করে উৎসাহ যোগালেন ওর বস ফ্রান্সের বাসিন্দা মিসেল। তিনি প্রদিপকে এই বস্তিবাসীর উপর ভিত্তি করে ওর গবেষণার সব তথ্য সংগ্রহ করার ব্যপারেও উৎসাহ দিলেন।

-প্রদিপ বেশী দুরে যাচ্ছে না। ইচ্ছে করলে প্রতিদিনই ওর সাথে দেখা করা যাবে।
নাসিম নেওয়াজ অনেক কষ্টে রাজি করালেন স্ত্রীকে।
তাছাড়া ছেলে সম্পর্কে মিসেলের সব কথা সবিস্তারে বর্ণনা করে শোনালেন স্ত্রীকে।
এনজিও ডরমিটারীতে থেকে কাজ করার সিদ্ধান্ত পাকা হয়ে গেল।

মাঝে মধ্যে এনজিও অফিসে আসেন নাসিম নেওয়াজ ছেলের খোজ নিতে। বেশ কিছুদিন বাদে দেখা হলেও আজকাল প্রদিপ আগের মত উচ্ছাস প্রকাশ করে না। জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের ব্যপারে আগে ওর মধ্যে যে উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হত তাতেও ভাটা পড়েছে বলে সন্দেহ হলো নাসিম নেওয়াজের।
-আমার কাছে কিন্তু তেমনটি মনে হয় না মিঃ নেওয়াজ। জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের আকাঙ্ক্ষা ওর মধ্যে এখনো প্রবল। তবে হিসেবের অংক গুলো যেন পরিবর্তন করে ফেলেছে প্রদিপ।
মিসেলের মন্তব্যে তার দিকে গভীর ভাকে তাকালেন নাসিম নেওয়াজ।
-মুক্তোর খোজে গভীর সমুদ্রে ডুব দিয়ে কেউ যদি তার থেকে আরো অধিক মুল্যবান কিছুর সন্ধান পেয়ে যায় তাহলে জীবনে সামনে এগোনোই যার ব্রত সেকি জল থেকে উঠতে চায় বলুন।
একটু থামলেন মিঃ মিসেল।
-ওর থিসিস মানুষকে নিয়ে, প্রকৃতি প্রদত্ত গুণে অবিকৃতভাবে গুণান্বিত মানুষ ওর গবেষণার উপাদ্য। প্রকৃতি প্রতিটি মানুষকে যাকে যা দেয়ার তা দিয়েছে, সেটার মাধ্যমেই যে স্রষ্টা তাঁর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। কেন যে তাঁর দেয়ার মধ্যে এত ভিন্নতা সেটা বের করা বোধহয় সম্ভব না, আর বের করতে যাওয়াটাও ঠিক না। মানুষকে দেয়া প্রকৃতির সে দানকে খুঁজে বের করে প্রকৃতির সে ইচ্ছার সাথে তাল মিলাতে পারলেই সে জীবন স্বার্থক।
মিশেলের কথা গভীর ভাবে শুনতে শুনতে নাসিম নেওয়াজ যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন অন্য এক জগতে। তিনি গভীর ভাবে তাকিয়ে মিসেলের চোখে।
-এটা আমার কথা নয় মিঃ নেওয়াজ, প্রদিপের আবিষ্কার।
মিশেলের কথাই যেন ধ্যান ভঙ্গ হল নাসিম নেওয়াজের।
– প্রজেক্টের প্রতি ওর যে দরদ মিঃ নেওয়াজ, তাতে মনে হয় ওর জন্য এটা কেবল একটা প্রজেক্ট নয় বরং আত্মবিশ্লেষন। তায় নিজের মত করে কাজটা ও করূক না।
-আত্মবিশ্লেষন করতে চায় প্রদিপ! কিন্তু কেন আর কিসের সে আত্মবিশ্লেষন!
নিজের মনের কাছে করা প্রশ্নের কোন জবাব খুজে বের করতে পারলেন না নাসিম নেওয়াজ।
প্রদিপের প্রতি মিঃ মিসেলের প্রগাঢ় মুল্যায়নের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি। তারপর ভাবতে ভাবতে একটু অন্য মনস্ক হয়ে পড়লেন নাসিম নেওয়াজ।
-মিঃ মিসেল, ওর কথাবর্তায় মাঝে মধ্যে কেমন যেন উষ্ণতার অভাব আর কোন কোন সময় প্রাসঙ্গিকতার অভাবও লক্ষ করলাম।
-আমার ভয়টা ওই জায়গাটাতে মিঃ নেওয়াজ। এত গভীরে ও যেন আবার নিজেকে হারিয়ে না ফেলে!
কিছুক্ষন চুপচাপ দু’জনই।
-প্রদিপের প্রতি আমার আর বিশেষ করে আমার স্ত্রীর এট্যাচমেন্টটা একটু আলাদা। আমাদের আরো দুটো ছেলেমেয়ে আছে কিন্তু প্রদিপ অন্য কারো মত না। ও একান্ত ওর নিজের মত। প্রদিপ চিরকাল ওর কাজের স্বীকৃতি লাভে বিশ্বাসী। কাজে ডুবে যায় ঠিকই কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার ছেলে ও নয়। মাঝে মধ্যে বিরতি নিয়ে নিজের অর্জন দেখে নিয়ে তৃপ্তির আস্বাদ লাভে বিশ্বাসী ও।
ছেলে সম্পর্কে নাসিম নেওয়াজের এমন মন্তব্যে মিশেল গভীর ভাবে তাকিয়ে দেখলেন ওকে। তারপর একটু সময় নিয়ে কি যেন ভাবলেন মিশেল।
-আমার উপলব্ধি থেকে বলছি মিঃ নেওয়াজ, একই লেখকের একই বই একটা মানুষের কাছে বিভিন্ন বয়েসে বিভিন্ন অর্থ বহন করে। বই অপরিবর্তিত থাকে কিন্তু পাঠকের কাছে অর্থ বদলে যায়। প্রকৃতিও সে রকম, এই ধরুননা সমুদ্র বা পাহাড় বা মরুভুমি জঙ্গল প্রকৃতির এই নিদর্শনগুলো আপনাকে ছোট বয়েসে যে আঙ্গিকে টেনেছে, এখন জীবনের এই পর্যায়ে এসে সেগুলি কি একই আঙ্গিকে টানে? প্রথম দর্শনের আকর্ষণটা থেকে যায় তবে দৃষ্টিভঙ্গিটা পাল্টায়।
একটু থেমে আবার বললেন।
-বাবা হিসেবে আপনি যে ছেলের প্রতি বিশেষ যত্নবান তা আপনার মন্তব্য থেকেই বোঝা যায়। আমিও বিষয়টা লক্ষ করেছি মিঃ নেওয়াজ।
-জন্ম থেকে বঞ্চিত মানুষের প্রতি ওর একটা বিশেষ টান আছে সেটা ওর সাথে আলাপের সময় আমি বুঝেছি, আপনিও জানেন সেটা। কিন্তু ওই সমস্ত মানুষের প্রতি শুধু মায়া থাকাই যথেষ্ট নয় ওর কাছে, এখন প্রদিপ ওদের জন্য কিছু করতে চায়। বিধাতার এই অপূর্ব সৃষ্টির অর্থ ও অনুধাবন করতে চায়।

এভাবে নাসিম নেওয়াজ ছেলেকে নিয়ে অনেকক্ষন আলাপ করেন মিঃ মিসেলের সাথে। দুজনেই একমত পোষন করে যে প্রদিপ অন্য দশটা ছেলের মত নয়, সবার থেকে আলাদা। ওর মন মত কাজ করতে দেয়া সঠিক বলে দুজনই একমত পোষন করে।

Category: Bangla, Novel

Comment List

Your email address will not be published.