ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে সমস্যা মোকাবেলা করা  

 

(সংকলিত)

 

এক কৃষকের একটি বৃদ্ধ খচ্চর ছিল। সেটি বয়েসের ভারে তার মালিককে খুব একটা সাহায্য করতে পারতো না। খচ্চরটি একদিন কৃষকের বাড়ীর নিকটে একটি গভীর কূপের ভিতর পড়ে চেচাতে লাগলো। কুপটিও ছিল একটি পরিতাক্ত অকেজো গর্ত মাত্র। কৃষক পুরো বিষয়টি ভালোভাবে যত্ন সহকারে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করলো। খচ্চরটির প্রতি তার সহানুভূতি হলো। কিন্তু হিসেবী কৃষক মূল্যায়ন করে দেখলো যে বৃদ্ধ অকেজো খচ্চর আর পরিত্যক্ত কুপ কোনটিই তার কোন কাজে আসবে না।

সে সিদ্ধান্ত নিল যে খচ্চর আর কুপ কোনটিই তার দরকার নেই। তায় তার প্রতিবেশীদের একত্রে ডাকলো,যা ঘটেছে তা তাদেরকে বর্ণনা করে শোনালো। সে চারদিক থেকে মাটি ও জঞ্জাল ফেলে কুপটি বন্দ করা এবং সেই সাথে অকেজো খচ্চরটিকেও কবর দেয়ার প্রচেষ্টাই সামিল হওয়ার জন্য প্রতিবেশীদের আমন্ত্রন জানালো।

কুপটি ভরাট করার প্রক্রিয়া শুরু করলে খচ্চরটি পাগলের মত লাফ ঝাপ মারা শুরু করলো। কিন্তু কৃষক এবং তার প্রতিবেশীরা তাতে নিস্ত্রিও হল না। মাটি পাথর ও জঞ্জাল খচ্চরটির পিঠের উপর পড়ে তাকে আঘাত করছিলো তখন একটি চিন্তা খচ্চরটির মাথায় আসলো।

প্রতিবার যখনই এক বেলচা মাটি ও পাথর খচ্চরটির পিঠের উপর পড়তে লাগলো ততোবারই খচ্চরটি ওর শরীর ঝাড়া দিয়ে সেগুলি নিচে ফেলতে লাগলো এবং একটু করে তার পাগুলি উপরে উঠাতে লাগলো।

এই  প্রক্রিয়াই খচ্চরটি ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার পূর্বেই কুপটি ভরাট হয়ে গেল আর খচ্চরটি গর্তের থেকে বের হয়ে আসলো। যে প্রক্রিয়াটি শুরু করা হয়েছিল খচ্চরটিকে কবর দেয়ার জন্য সেই প্রতিকূল প্রক্রিয়াটিকে কাজে লাগিয়েই তার জীবন বাঁচালো।

শিক্ষণীয়ঃ জীবন এরকমই! জীবনের পথ রোধ করে দাঁড়ানো সমস্যা গুলিকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মোকাবেলা করি এবং আতঙ্ক গ্রস্থ না হয়ে সাহসের সাথে মাথা ঠাণ্ডা করে কাজ করি তাহলে কোন সমস্যাই আমাদের লক্ষ্যচ্যুত করতে ব্যর্থ হবে।

Category: Bangla, Moral Stories

Comment List

Your email address will not be published.