অতিথি

[email protected]

 

 

ভেবেছিলাম একটু দেরী হলেও কাজটা আজ শেষ করেই যাবো। কিন্তু পারলাম না। দুপুরের পর পরই মেঘে আকাশ কালো হয়ে চারিদিক প্রায় অন্ধকার হয়ে আসলো। ঝড়ের ঝাপটা আর সাথে টিপ টিপ করে বৃষ্টি নামলো।

রেইনকোটটা পরে নিলাম তাড়াতাড়ি। তাতেও হলো না। অগত্যা অফিসের কাগজ পত্রগুলো ব্যাগে ভরে রিকশা ষ্টান্ডের দিকে দৌড় দিলাম।

কয়েকটা রিকশা দাড়িয়ে। রিকশাওয়ালারা মাথার উপর পলিথিন দিয়ে নিজ নিজ রিকশায় জড়সড় হয়ে বসে আছে।

রিকশায় করে অফিসে ফেরত যেতে এক ঘণ্টার উপরে লাগবে। এই আবহাওয়াই অত রাস্তা যেতে কেউ রাজী হলো না।

গত প্রায় মাস খানেক ধরে বস্তিবাসীদের তালিকা তৈরী করছি একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর হয়ে, যেখানে আমি চাকরী করি। কোম্পানী ওদেরকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতার আওতায় আনবে।  

সেদিন সকাল থেকেই আকাশটা মেঘলা।

দাড়িয়ে দাড়িয়ে আসহায়ের মত ভিজছি আর ভাবছি কি করবো এখন। এমন সময় ওদের মধ্যে একজন কি ভেবে জানিনা যেতে রাজী হল, আমার অসহায়ত্ব দেখে বোধ হয়।

তাড়াতাড়ি করে ওর রিকশায় উঠে বসলাম।

মাঝবয়সী রিকশাওয়ালা। ও আমার পায়ের উপর রিকশার পর্দাটা ভালো করে বিছিয়ে গুজে দিল আর নিজে পলিথিন দিয়ে জামার মত করে বানানো একটা ড্রেস আর মাথায় পলিথিনের টুপি পরে নিল।

একটু যেতে না যেতেই ঝড় শুরু হলো সাথে মুসলধারে বৃষ্টি। বাতাসের ঝাপটায় রিকশা সামনে টানা অসম্ভব হয়ে দাড়ালো ওর পক্ষে। রিকশাটা উল্টিয়ে যাওয়ার উপক্রম হতে লাগলো।

তাড়াতাড়ি করে পাশে কোথাও দাড়াতে বললাম ওকে।

রাস্তার পাশে পাঁচিল ঘেরা বাড়ীর বড় একটা গেট। গেটের উপর চার চালা ছোট ছাদ তার উপর সিমেন্ট কেটে কেটে বাংলা টালির নকশা করা। রিকশাটা কোন রকমে টেনে ওই গেটটার নিচে নিয়ে গেল।

গেট ভিতর থেকে বন্ধ। লোহার কপাটদুটো যেমনি বাতাসের ঝাপটা থেকে আমাদের কিছুটা বাচাতে লাগলো তেমনি গেটের উপরের ছাদটা বৃষ্টি থেকেও যৎসামান্য আশ্রয় দিতে লাগলো।

ভাবছি এভাবে হয়তো বেশীক্ষন কাটানো যাবে না।

ঠিক তখনই বাইরে থেকে একটা প্রাইভেট কার এসে ভিতরে ঢুকবে বলে ব্যস্তভাবে হর্ণ বাজাতে লাগলো। দারোয়ান দৌড়ে এসে গেটটা খুলতে খুলতে রিকশাওয়ালা ওর রিকশাটা টেনে ভিতরে একপাশে নিতেই কারটা প্রবেশ করলো। পিছন থেকে যতটুকু দেখা গেল তাতে মনে হলো পিছনের ছিটে একজন বসা।

একটু বাদেই দারোয়ান চিৎকার করে রিকশা রিকশা বলে ডেকে আমাদের ভিতরে যাওয়ার জন্য বললো।

পুরানো আমলের বড় দোতলা বাড়ী সামনে চওড়া বারান্দা। বাড়ীর সামনে বেশ খানিকটা খালি জায়গা।

রিকশাটা বারান্দার সাথে লাগাতেই আমি প্রায় লাফ দিয়ে নেমে বারান্দায় উঠলাম। রিকশাটাকে একটু পাশে সরিয়ে রেখে রিকশাওয়ালাও বারান্দায় উঠে দাড়ালো।

আমার হাটুর নিচের দিকটা আধা ভেজা। ভাবলাম গা মাথা একটু মুছে নিলেই চলবে।

কিন্তু বেচারা রিকশাওয়ালার তালি দেয়া পলিথিনের জামা ওকে খুব একটা বাচাতে পারিনি। ওর পুরো শরীর ভেজা। বারান্দার এক কোনে দাড়িয়ে ও পরনের লুঙ্গি জামা চিপে চিপে নিঙড়িয়ে নিতে লাগলো।

ভীষণ খারাপ লাগলো ওর এ অবস্থা দেখে। বেচারা আমার জন্যই কষ্ট পেল। অন্যান্য রিকশাওয়ালাদের মত ও না আসলেও পারতো।

খুব মায়া হলো ওর জন্য। কাছে অতিরিক্ত কোন কাপড় চোপড় কিছু নেইও যে ওকে দিই। ভাবলাম এটা নিজের বা জানাশোনা কারো বাসা হলে ওর জন্য কিছ– শুকনো কাপড়ের ব্যবস্থা করতাম।

ড্রাইভার বেরিয়ে আসলো ভিতর থেকে। গাড়ীটা বাইরেই পার্ক করা। হয়তো গাড়ীতে যিনি বসা ছিলেন তাকে ঘরে দিয়ে আসলো।

আমি ততোক্ষনে রুমাল দিয়ে যতটুকু পারা যায় মুখ হাত মুছে নিয়ে জামার কলার টাই ইদ্যাদি একটু ঠিকঠাক করে নিয়েছি।

ড্রাইভার আমাদের দিকে দেখলো একটু।

-ঝড় বৃষ্টি সহজে থামবে বলে মনে হয়না। আপনি ড্রইং রুমে যেয়ে বসেন।

ড্রাইভার আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো।

আমি আমার রিকশাওয়ালার দিকে তাকালাম। ভাবছি ওর জন্য কি করি, ড্রাইভারকে কি বলবো কিছু।

-ওকে আমি নিয়ে যাচ্ছি।

ড্রাইভার বোধহয় ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আমাকে আশ্বস্ত করলো।

ভালো লাগলো ড্রাইভারকে খুব।

ঝড় বৃষ্টির মধ্যেই দৌড়ে ওরা গ্যারেজের দিকে চলে গেল।

গ্যারেজটা খোলা, উপরে একটা রুম। বোধহয় ড্রাইভারের থাকার জন্য।

ড্রইং রুমটা বেশ প্রশস্ত। সোফা কার্পেট, ফার্নিচার আর দামি দামি শো পিসে ভরা। এক সাথে কম করে হলেও বিশ জন লোক বসতে পারে।

-সাহেব খুব অসুস্থ এই মাত্র ডাক্তার দেখিয়ে ফিরলেন। বাড়ীতে অন্য কেউ নেই। সবায় বাইরে।

বৃদ্ধ একজন চাকর কথাগুলো বলতে বলতে ট্রেতে করে আনা চায়ের কাপ আর সাথে কিছু খাওয়ার সামগ্রী নামিয়ে রাখলো সাইড টেবিলে।

-গেষ্ট রুমে তোয়ালে আছে। আপনি হাত মুখ মুছে নিয়ে গরম চা খান। ভালো লাগবে। ঝড় বৃষ্টি থামতে দেরী হবে, চায়লে একটু বিশ্রাম নিতে পারেন বিছানা রেডি করা আছে।

বাড়ীর অসুস্থ অদেখা মালিকের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথাটা নত হয়ে আসলো। যাকে চেনে না জানে না, এমনকি দেখেওনি তার জন্য এত বদান্যতা।

আমি বিপদে পড়া রাস্তার একজন মানুষ। আমার এ বিপদে পড়ার ব্যাপারে তার একটুও সংশ্লিষ্টতা নেই।

রিকশাওয়ালার সাথে আমার পরিচয় রাস্তায়। কিন্তু ও আজ যে সমস্যায় পড়েছে তার জন্য কিছুটা হলেও আমি দায়ী।

আমরা দুজনই বিপদে পড়ে প্রকৃতির রোষ থেকে বাচার জন্য এ বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছি।

কি ভেবে বেরিয়ে বারান্দায় গেলাম। বাইরে প্রকৃতি তখনো অপ্রতিরোধ্য আক্রোশে ফেটে পড়ছে।

রিকশাওয়ালা খালি গ্যারেজে একটা টুলের উপর বসে চা খাচ্ছে। মনে হলো গা মাথা মুছে নিয়েছে ততোক্ষনে।

হেঁয়ালি প্রকৃতি আমাদের মধ্যে একটা অলিখিত সেতুবন্ধন তৈরী করেছে। আর সেই বন্ধন ধরেই আমরা দুজনেই এই মুহুর্তে এই অজানা অচেনা মানুষের ঘরে আশ্রয় নিয়েছি।

-স্যার চা যে ঠান্ডা হয়ে গেল।

বৃদ্ধ চাকরের ডাকে সম্বিত ফিরে পেলাম।

আমি এ বাড়ীর অতিথি এখন। কারণ সেভাবেই এরা আমাকে আপ্যায়ন করছে। গেষ্ট রুমে গেষ্টদের ব্যবহারের জন্য আলাদা কাপড় স্যান্ডেল সবই আছে। ইচ্ছা করলে আমি আমার আধা ভেজা কাপড়গুলো পাল্টিয়ে চাকরটাকে দিলে ও বোধহয় তা ইস্ত্রি করে শুকিয়ে দিতে একটুও দ্বিধা করবে না।

ঝড় বৃষ্টির যা অবস্থা তাতে মনে হয় সহজে থামবে না। গেষ্ট রুমের বেডে একটু বিশ্রাম করলে মন্দ হতো না। কিন্তু অজানা বিছানায় শুলে আমার অসস্থি লাগে, অন্যের বিছানা বালিশ ব্যবহার করতে গা ঘিন ঘিন করে।

চা নিশ্চয় ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে ততোক্ষনে। ঠান্ডা চা আমি একদম পছন্দ করিনা। তবুও অগত্যা চায়ে

চুমুক দিলাম। নাহ চাটা গরমই, বৃদ্ধ বোধহয় আবার গরম করে এনেছে।

আমি যেখানে বসেছি সেখান থেকে খোলা দরজা দিয়ে বাইরেটা দেখা যাচ্ছে। গ্যারেজের মধ্যে টুলে বসা রিকশাওয়ালা দেয়ালে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।

বেচারা খুবই ক্লান্ত তায় ওই ভিজে কাপড়েই ঘুমিয়ে পড়েছে।

ভারী খারাপ লাগলো। খুব অসহায় বোধ করছি ওর জন্য কিছু করতে না পারায়।

ভাবলাম বলবো কি বৃদ্ধ চাকরটাকে যে ওকে কোন শুখনো কাপড় দিয়ে এত বড় বাড়ীর কোন এক কোনায় একটু শোয়ার ব্যবস্থা করতে।

এত বড় একটা গেষ্ট রুম, শুকনো কাপড়ও আছে আলনায়। এ দুটি জিনিসের দরকার ওর বেশী আমার না।

প্রকৃতি তার পুরো রোষে নিজ গতিতেই আছড়ে পড়ছে। অবিরাম ঝড় আর বর্ষনে জীবন যেন থেমে গিয়েছে। এ বিশাল বাড়ীটার মালিক কর্মচারী সবাই ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছে।

রিকশওয়ালাটাও ভেজা কাপড়ে টুলের উপর বসে বসে অঘোরে ঘুমোচ্ছে। কেউ আর জেগে নেই, শুধু আমি বাদে।

বৃষ্টিতে সামনের মাঠটা পানিতে ভরে একাকার হয়ে গিয়েছে। জল থৈ থৈ করছে। আরেকটু হলে হয়তো গ্যারেজেও পানি উঠে যাবে।

বৃষ্টির ঝাপটা ঘুমন্ত রিকশাওয়ালার গায়ে মুখে লাগায় ও ঘুমের মধ্যেই ঘন ঘন নড়াচড়া করছে।

কারো নাম জানি না এ বাড়ীর। বৃদ্ধ চাকরটাকে এদিক ওদিক খুজলাম। কিন্তু আশে পাশে দেখা গেল না। কোথায় খুজবো কিছুইতো চিনি না। হয়তো ঘুমোচ্ছে এই বিশাল বাড়ীর কোন কোণে।

বারান্দায় আসলাম। জোরে চিৎকার করে ডাকলাম রিকশাওয়ালা বলে। ও শুনলো বলে মনে হলো না।

কি ঘুম রে বাবা! গলায় যত জোর আছে তা কাজে লাগিয়ে আবার ডাকলাম ওকে। ও হতচকিত হয়ে উঠে সোজা হয়ে বসলো। এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। বোধহয় ভুলেই গেছে ও কোথায়।

সম্বিত ফিরে পেয়ে ও আমার দিকে তাকালো। তারপর কি ভেবে ওই ঝড় জলের মধ্যেই দৌড়ে বারান্দায় উঠে আসলো।

-স্যার কোন অসুবিধে হয়নিতো।

গামছা দিয়ে নতুন করে ভেজা গা মাথা মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করলো।

বুঝলাম রিকশাওয়ালা ওর নিজের জন্য নয় আমার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে ছুটে এসেছে।

বিনা দ্বিধায় আমি ওকে গেষ্ট রুমের মধ্যে নিয়ে গেলাম।

কাপড়গুলো দেখিয়ে বললাম ভিজে কাপড় ছেড়ে এগুলো পরে এখানে একটু ঘুমিয়ে নাও। বৃষ্টি থামলে আমি তোমাকে ডাক দেব।

ও আমার চোখে চোখ রেখে তাকালো। বললো না কিছুই।

স্রষ্টার এ এক অপার মহিমা! মানুষের ইন্দ্রিয়ের কোন একটির কার্যকারীতা যদি তিনি কম করে দেন তাহলে যেটুকু নিয়েছেন তা পুরো করার জন্য অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভারসাম্য আনায়ন করেন।

এই মুহুর্তে অশিক্ষিত রিকশাওয়ালা ওর মনের ভাব প্রকাশ করার ভাষা পাচ্ছে না। কিন্তু ওর চোখ মুখ সমস্ত অবয়ব সে কথা বলছে।

ও আমার চোখের দিকে তাকিয়ে। ভাড়া আদান প্রদানের সম্পর্কের ভিত্তিতে কোন রিকশাওয়ালা কখনো কারো চোখের দিকে এভাবে তাকায় না।

ও আমার অসহায়ত্ব বুঝেছে। আমার আতিথেয়তা ও গ্রহন করেছে কৃতজ্ঞতা ভরে। কিন্তু দরিদ্র অশিক্ষিত রিকশাওয়ালা কোন ক্রমেই আমার কোন রকম অসম্মান চায় না।

ও টুকু ভেজা কাপড়ে ছাদওয়ালা খালি গ্যারেজে ও অনায়াসেই ঘুমাতে পারে। এ টুকুই ওর জন্য যথেষ্ঠ। ভদ্রলোকের পোশাক পরে নরম বিছানায় ওর ঘুম আসবে কিনা ও তা জানে না, তবে কোন ক্রমেই ও আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চায় না।

কতক্ষন আমরা চোখে চোখে কথা বললাম জানিনা। বৃদ্ধ চাকরটার আগমনে আমরা সম্বিত ফিরে পেলাম।

বৃষ্টি পুরোপুরি থেমে গেল। দিনমনি অস্ত যাওয়ার আগে একটু উঁকি ঝুঁকিও মারলো।

বৃদ্ধ চাকরটাকে আর ওর মাধ্যমে ওর দয়ালু মনিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঐ রিকশা করেই অবশিষ্ট

রাস্তাটুকু পেরিয়ে অফিসের সামনে এসে নামলাম।  

একটা কথাও হলো না বাকি পথ টুকুতে।

ততোক্ষনে অন্ধকার জমাট বেধেছে। ঝড়ে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়াই কোন বাতিও জ্বলছে না।

কি ভেবে পকেট থেকে পাঁচশত টাকার একটা নোট বের করে ওর দিকে বাড়িয়ে দিলাম।

অন্ধকারে ও নোটটা দেখতে পেল কিনা বুঝলাম না।

আমার চোখের দিকে আবার তাকালো ও। মনে হলো মৃদু হাসলো।

-না থাক, লাগবে না স্যার।

হাতটা অমনি বাড়িয়েই রাখলাম। কি বলবো বা করবো ঠিক বুঝতে পারলাম না। কিছু বলার সাহস যেন হারিয়ে ফেললাম।

রিকশাটা ঘুরাতে ঘুরাতে ও বললো – যায় স্যার, দেখি দুএকটা খ্যাপ মারা যায় কিনা।

-এটাই আমার অফিস, কোন দরকার পড়লে এসো।

তাড়াতাড়ি করে বললাম।

ততোক্ষনে ও প্যাডেল করতে শুরু করেছে। আমার কথা শুনলো কিনা বুঝলাম না।

আমার আতিথেয়তা ও গ্রহন করলো না বাস্তবিক অর্থে, আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির হাত থেকে বাচানোর জন্য। শেষে ওর পাওনাটাও আমার কাছ থেকে নিল না দরিদ্র রিকশাওয়ালা!

প্রতিদিন ভাবি ও হয়তো আসবে আমার অফিসে, হয়তোবা দেখা হবে রাস্তার কোন মোড়ে। শুকনো

মুখ নিয়ে ছেলেটার একটা চাকরী বা মেয়েটার বিয়ের জন্য কিছু সাহায্য চায়বে। অথবা স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য হাত পাতবে।

ওরা যে দরিদ্র, মানুষের মনের বসবাস যে শরীরের মধ্যেই।

ওই মানুষটা আমার কাছে হাত পাতবে!

মনে মনে বিধাতার কাছে প্রার্থনা করি -ওর সাথে যেন আমার কখনো আর দেখা না হয়।

Category: Bangla, Short Story

Comment List

Your email address will not be published.